Blogs

নেটওয়ার্কিং প্রশিক্ষণ কিভাবে তোমার ভবিষ্যৎ জীবনে সাফল্য আনতে পারে?

Vocational Training in Kolkata

বর্তমানকালে একটি অন্যতম জনপ্রিয় প্রশিক্ষণ হলো নেটওয়ার্কিং প্রশিক্ষণ যেখানে অনেকগুলো যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তিকে একত্রিত করে একটি সচল যন্ত্র তৈরি করা হয়. আর এই প্রযুক্তি চালিত যন্ত্র গুলো আধুনিক সমাজে কর্ম জীবনে অমূল্য সম্পদ। তাই যদি তুমি নেটওয়াকিং কোর্স করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকো তা অতি উত্তম চিন্তা ভাবনা। তবে কর্মজীবনে উন্নতি লাভ করতে গেলে অতি অবশ্যই কোনো সুযোগ্য প্রতিষ্ঠানকে বেছে নেওয়া ভালো এবং তার মধ্যে জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট অন্যতম। .

নেটওয়ার্কিং বলতে কি বোঝানো হয়?

যদি আক্ষরিক অর্থে জানতে চাও তাহলে বলতে হয় নেটওয়ার্কিং হলো দুটো সম্পূর্ণ পৃথক বস্তুর মধ্যে মেলবন্ধন সৃষ্টি করা আর মূলত সেই বস্তু অজৈব কিছুই হয়ে থাকে। প্রযুক্তিগত দিক থেকে যে সংজ্ঞা ব্যক্ত করা যেতে পারে তা হলো যখন কম্পিউটার এই ভিন্ন যন্ত্রাংশ গুলোকে কোনো প্রযুক্তি বিদ্যা ব্যবহার করে একে অপরের সাথে মিলিত করা হয় এবং সেটিকে সচল করে কোনো বৃহৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয় তাকেই বলা হয় নেটওয়ার্কিং। ঠিক যেমন ভাবে একটি কম্পিউটার চলে বা একটি মোবাইল ফোন চলে সেটিকেই বলা হয় নেটওয়ার্কিং। এখানে বিভিন্ন যন্ত্রাংশগুলি বিভিন্ন প্রযুক্তিবিদ্যা দ্বারা চালিত হয় এবং সমন্বয় রেখে বিভিন্ন তথ্য আদানপ্রদানের কাজে ব্রতী হয়.

এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে কি কি পূর্ববর্তী যোগ্যতা তোমার থাকা প্রয়োজন?

যেহেতু আধুনিককালে কম্পিউটার বহুল পরিমানে ব্যবহৃত হয় সেক্ষেত্রে এই যন্ত্র টিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা অর্থাৎ নেটওর্য়াকিং জানা ব্যক্তিদের চাহিদাও আধুনিক সমাজে বেড়েছে আর ঠিক সেই কারণেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গুলো এই সংক্রান্ত নানান প্রশিক্ষণ দেওয়া চালু করেছে। তবে এই প্রশিক্ষণটি যেকোনো প্রতিষ্ঠানে নিতে গেলে তোমার কিছু পূর্ববর্তী যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। সেগুলো হলো,

  • তোমাকে অতি অবশ্যই উচ্চমাধ্যমিক স্তর উত্তীর্ণ হতে হবে একটি সম্মানজনক নম্বর এর সাথে এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে যদি কম্পিউটার সাইন্স তোমার পাঠ্য বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হয় সেক্ষেত্রে খুবই লাভজনক।
  • অ্যাডভান্সড ডিপ্লোমা ইন হার্ডওয়ার নেটওয়ার্কিং করতে গেলে শুধু যে উচ্চমাধ্যমিক স্তরটি উত্তীর্ণ হতে হবে তা নয় একটি নির্দিষ্ট প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও তোমাকে পাশ করতে হবে. এবং সেই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এর মান ই বিচার করবে তুমি কত ভালো প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পাবে।

কোন কোন বিষয় এই পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত?

সব প্রশিক্ষনেরই একটি নির্দিষ্ট পাঠক্রম সূচি থাকে সেক্ষেত্রে নেটওয়াকিং ও তার ব্যক্তিক্রম নয়. কিছু নির্দিষ্ট বিষয় আছে যা না রপ্ত করলে কখনোই তোমার শিক্ষা সম্পূর্ণ হবে না. তাই এমনি একটি প্রতিষ্ঠান তোমার বেছে নেয়া উচিত যেখানে তুমি এই পাঠক্রমের অন্তভুক্ত সমস্ত বিষয়গুলো জানার সুযোগ পাবে। যদি তুমি ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন কলকাতা করতে চাও তবে যে যে বিষয়গুলো নেটওয়ার্কিং পাঠক্রমটির সাথে যুক্ত থাকে তা হলো,

  • নেটওয়ার্ক ফান্ডামেন্টালস
  • ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট
  • ওয়্যারলেস এন্ড মবিলিটি
  • নেটওয়ার্কিং সিকিউরিটি
  • সুইচিং এন্ড রাউটিং
  • কনটেন্ট ডিস্ট্রিবিউশন
  • ফিউচার ইন্টারনেট স্ট্রাকচার
  • ক্লাউড এন্ড ডাটা সেন্টার ইত্যাদি এবং আরো অনেক কিছু।

একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে কর্মক্ষেত্রে কি বিশেষ সুযোগ তুমি পেতে পারো?

এই প্রশিক্ষণটির সমাজে এখন বিশেষ চাহিদা রয়েছে আর তার কারণ হলো এখন পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের কর্মজীবন কম্পিউটার নামক যন্ত্রটিকে ছাড়া সম্পূর্ণরূপে অচল. ঠিক যেমন এই কম্পিউটারের ব্যবহারের বিশেষ চাহিদা বেড়েছে ঠিক তেমন তার প্রযুক্তিতে উন্নতিকরণ বা মেরামত করতে জানা লোকের চাহিদাও বেড়েছে। তাই সেক্ষেত্রে একটি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে তুমি তোমার কর্ম জীবনে বিশেষ উন্নতির সুযোগ পেতে পারো।

  • অ্যাডভান্সড ডিপ্লোমা ইন নেটওয়ার্কিং কোর্সটি করলে তুমি এই নেটওয়ার্কিং সংক্রান্ত কাজ যে সংস্থা গুলো করে সেখানে যোগ দিতে পারো। কম্পিউটারের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে এই সংস্থাগুলোও সংখ্যায় দিন দিন বেড়ে চলেছে।
  • এছাড়াও যদি তুমি এই নেটওয়ার্কিং জগতের সাথে ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত হতে চাও সেক্ষেত্রে তুমি গবেষণার কাজেও নিযুক্ত হতে পারো।

এই প্রশিক্ষণটি নেওয়ার আগে বিবেচ্য বিষয়গুলো কি কি?

যখন তুমি নেটওয়ার্কিং সংক্রান্ত কোনো ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন কলকাতা করছো সেক্ষেত্রে অতি অবশ্যই প্রশিক্ষণ নেওয়ার আগে তোমার কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত যা তোমাকে এই প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণরূপে আয়ত্ত করতে সাহায্য করবে। যে যে বিষয়গুলো তোমার বিবেচনা করে দেখা উচিত তা হলো,

  • যখন তুমি কোনো প্রশিক্ষণ নেবে তখন অতি অবশ্যই তোমার আত্মসমালোচনা করে নেওয়া উচিত যে আদতে এই বিষয়টির উপর তোমার আগ্রহ রয়েছে কিনা তার কারণ একটি প্রশিক্ষণ শুরু করে দেয়ার পর সেটিকে বন্ধ করে দেয়া কোনো যুক্তিযুক্ত কাজ নয়.
  • এছাড়াও যে বিষয়টির উপর তোমার বিশেষ করে নজর দেওয়া উচিত তা হলো যে প্রতিষ্ঠানটি তুমি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিচ্ছ সেটি আদতে যথাযোগ্য কিনা।

কিভাবে বুঝবে কোন প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ?

কোনো একটি প্রতিষ্ঠান নেটওয়ার্কিং সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে ঠিক কতটা যোগ্য তা বিচার করা মোটেও কোনো অসহ্য কাজ নয়. তবে যদি তুমি একটু চেষ্টা করো তো সেক্ষেত্রে কাজটা খুব একটা অসম্ভব কিছুই নয়. তবে যদি তুমি বুদ্ধিমত্তার সাথে কাজটি শুরু না করো সেক্ষেত্রে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানটিকে খুঁজে পাওয়া একটু দুর্লভ বিষয়।

  • যেকোনো প্রতিষ্ঠান সুযোগ্য তখনি হয় যখন তার অনেকদিনের অভিজ্ঞতা থাকে, এই জাতীয় প্রশিক্ষণ প্রদানকারী কেন্দ্র হিসেবে। কারণ সেখানকার শিক্ষক ও শিক্ষিকা মন্ডলীরা বিশেষ ভাবে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়ে থাকে.
  • এছাড়াও যখন কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের পাঠক্রমে সমস্ত নেটওয়ার্কিং সংক্রান্ত নিত্য নতুন বিষয়গুলোকে ক্রমাগত যুক্ত করতে থাকে সেটি যোগ্য প্রতিষ্ঠান বলে ধরা যেতে পারে।
  • কোনো প্রতিষ্ঠান যখন তোমাকে সুযোগ দেবে ধীরে ধীরে পুরো বেতনটি দেওয়ার এবং সবথেকে বড় ব্যাপার যখন সেই বেতনটি সমাজের সব স্তরের মানুষেরই দেয়ার ক্ষমতা থাকবে তখনি সেটিকে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ধরা যেতে পারে।

যদি তুমি সম্পূর্ণরূপে অজ্ঞাত হয়ে থাকো এই নেটওয়ার্কিং বিষয় সম্পর্কে সেক্ষেত্রে তুমি এই শিল্পজগতে প্রতিষ্ঠিত প্রাক্তনীদের সাথেও যোগাযোগ করতে পারো এবং সেই সময়ে একটি নাম তুমি অবশ্যই উঠে আস্তে দেখবে অনেকবার তা হলো জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট। বর্তমান কালে সত্যি এই প্রতিষ্ঠানটি নেটওয়াকিং প্রদানকারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে বিশেষ আলোড়ন ফেলেছে।

Admission Open



বাংলা ওয়েবসাইট
Contact Us