Blogs

চুলের যত্ন এবং স্টাইলিং: পার্লার স্টাফদের জন্য বিশেষজ্ঞ ক্লাস

পার্লার ক্লাসেস নিয়ার মি

তোমার মত এরকম অনেকেই চুলের যত্ন এবং স্টাইলিং এর ব্যাপারে জানতে চায়. বর্তমান যুগে এটি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পেশা কারণ আধুনিক মেয়েরা নিজেদের চুলের ব্যাপারে খুবই সৌখিন। তাই তুমি যদি এই কাজ জেনে থাকো তো সেক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ জীবনে তোমার বিশেষ অর্থলাভের সুযোগ রয়েছে।

এই কাজের সঙ্গে নিজেকে যখন যুক্ত করবে তখন তুমি গুগলকে জিজ্ঞেস করতেই পারো, “হুইচ ইন্সটিউট গিভস দা বেস্ট পার্লার ক্লাসেস নিয়ার মি?” সেক্ষেত্রে কিন্তু গুগল তোমাকে যে নামগুলো দেবে তার মধ্যে তোমাকে প্রথম তিনটি নামি বেছে নিতে হবে আর এই তিনটি নামের মধ্যে অতি অবশ্যই একটি নাম জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট হবে.

চুলের যত্ন ও স্টাইলিং এর মধ্যে কোন কোন কাজ পরে?

প্রশিক্ষণ নেয়ার আগে অবশ্যই তোমার জানা উচিত যে এই কাজ করতে গেলে তোমাকে কি কি শিখতে হবে. বিষয়গুলো হচ্ছে সেগুলো না শিখলে কিন্তু কোনোদিনই তুমি বুঝতে পারবে না কিভাবে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি করা যায়. আর যখন তুমি এই কাজ পেশাগত ভাবে শিখতেই চাইছো তখন ধরে নেয়া যায় যে তুমি কর্মক্ষেত্রে উন্নতি করার কথা মাথায় নিয়েই শিখতে চাইছো।

চুলের যত্নের মধ্যে যেগুলো পরে তা হলো শ্যাম্পু করা, কোনো বিশেষ যত্ন বা ট্রিটমেন্ট বা স্পা করা, এছাড়াও চুলের স্টাইলিং বলতে যে বিষয়গুলো বোঝায় তা হলো চুলটাকে বিভিন্ন আকারে কাটা, বা মানানসই রং করা কিংবা কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান উপলক্ষে চুলের সাজসজ্জা করা. এই সব ধরণেরই কাজ মূলত চুলের পরিচর্যার মধ্যে পড়ে থাকে। আর এখন অনেকেই এই সার্ভিসগুলো নিতে পার্লার গিয়ে থাকেন। শুধু যে মেয়েরা তা নয় অনেক ছেলেরাও গিয়ে থাকে।

এটি শিখলে তোমার জীবনে কি কি উপকার হবে?

বিউটি পার্লার ক্লাসেস করলে তুমি এই সব ধরনের কাজ শিখতে পারবে। তবে যদি তুমি বিশেষ করে চুলের পরিচর্যার উপরই কাজ করতে চাও তাহলে তোমাকে এই কাজটি শেখার জন্য কিছু বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে হবে. তবে তুমি যদি এই কাজটি ভালোভাবে শিখতে পারো সেক্ষেত্রে তা ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য মঙ্গলময় আর তার কারণস্বরূপ বলা যায়,

  • এই কাজটি শিখলে তুমি যেকোনো প্রসাধনী সংস্থার সাথে যুক্ত হতে পারবে এবং সেখানে বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিজের জায়গা তৈরী করতে পারবে।
  • তুমি কোনো ব্যক্তি বা একটি বড় কোম্পানির অধীনে চাকরি করা ছাড়াও স্বাধীনভাবে নিজের ব্যবসাও শুরু করতে পারো। সেক্ষেত্রে তোমার অধীনে যারা কাজ করবে তাদেরকে কাজ শেখানোর জন্য বা চালনা করার জন্য তোমার কাজটা শেখা খুবই জরুরি।

এই কাজ শিখতে গেলে তোমার মানসিক গঠন কিরকম হওয়া উচিত?

কাজটি শিখতে গেলে শুধু নয় নিজের পেশা হিসেবে যদি এই কাজটিকে বেছে নিতে চাও তাহলে অতি অবশ্যই তোমাকে মানসিকভাবে কিছু ক্ষেত্রে প্রস্তুত হতে হবে. যদি না হও সেক্ষেত্রে কোন দিনই এই কাজ করে সফল কর্মজীবন তৈরী করতে পারবে না. তাই যে যে রাখতে হবে তা হলো,

  • তোমাকে সম্পূর্ণরূপে সততা নিজের মধ্যে রাখতে হবে যাতে তুমি তোমার কাছে আশা খদ্দেরদের সবথেকে ভালো সেবাটি দিতে পারো।
  • তোমাকে যথেষ্ট ধৈর্যশীল হতে হবে তার কারণ সব ব্যক্তিত্ব কিন্তু সমান হয় না তাই সবার মন বুঝে তোমায় চলতে হবে.
  • আরেকটি জিনিস যেটা তোমায় মাথায় রাখতে হবে তা হলো তোমাকে কিন্তু সমস্যা বুঝে তাদেরকে সমাধান দিতে হবে এবং এখেত্রে তাদের আর্থিক সঙ্গতিটাও মাথায় রাখা বাঞ্চনীয়।
  • তোমার মধ্যে এই কাজের জ্ঞান রাখতে হবে তুমি যাতে সবথেকে ভালো উপদেশটাই তোমার খদ্দেরদের দিতে পারো এবং সেটা মেনে নিয়ে তারা যাতে দ্রুত নিজের সমস্যার সমাধান করতে পারে।

কি করলে তুমি এই কাজে সফল হতে পারবে?

শুধুমাত্র যে বিউটি পার্লার ক্লাসেস করলেই যে তুমি এই কাজে সফল হতে পারবে তা নয় আরো অনেকগুলো বিষয় আছে যেগুলো তোমার মধ্যে থাকলেই তবে তুমি এই কাজে সফল হতে পারবে। তার মধ্যে যে বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য তা হলো,

  • তোমার মধ্যে অদম্য পরিশ্রম করার প্রবণতা ও ক্ষমতা থাকতে হবে তা না হলে কিন্তু তুমি উন্নতি করতে পারবে না. এই কর্মজগতে উন্নতি করার জন্য তোমাকে একজন অত্যন্ত পরিশ্রমী ব্যক্তি হয়ে উঠতে হবে.
  • এছাড়াও তোমার মধ্যে কিছুটা শিল্পীসত্তা থাকতে হবে যা একান্তই তোমার নিজস্ব। এই শিল্পী মনোভাব কিন্তু কোনোভাবেই তোমার পদ্ধতিগত শিক্ষার মাধ্যমে গ্রহণ করা সম্ভব নয়. তাই এই বিষয়টি সম্পর্কে তোমার আগ্রহ থাকত খুব জরুরি।

কাজটি শেখার আগে কি কি বিষয় বিবেচনা করে দেখা উচিত?

যেকোনো কাজ শেখার আগে কিছু বিষয় তোমার বিবেচনা করে দেখা উচিত এবং তা না করলে পরবর্তীকালে তোমাকেই কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে. যেটা কখনোই একটি পেশা শুরু করার ক্ষেত্রে ভালো না.

  • তোমাকে অতি অবশ্যই নিজের আত্মসমালোচনা করে দেখতে হবে যে তুমি আদতে এই কাজটি করার জন্য মন থেকে আগ্রহী কিনা। কারণ একটি প্রশিক্ষণ শুরু করার পর কখনই উচিত নয় সেটিকে মাঝ পথে থামিয়ে দেয়া। এক্ষেত্রে কিন্তু তোমার পেশার ক্ষতি হতে পারে।
  • আরেকটি বিষয় যেটা ভীষণ রকম জোরদারভাবে বিবেচ্য হওয়া উচিত তা হলো একটি সুযোগ্য প্ৰতিষ্ঠান খুঁজে বের করা. সেক্ষেত্রে যখন তুমি গুগল কে প্রশ্ন করবে, “হুইচ আর দা বেস্ট পার্লার ক্লাসেস নিয়ার মি?” তখন তার দেয়া প্রথম তিনটি উপদেশের মধ্যেই বেছে নেয়া ভালো।

কি করে বুঝবে কোন প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে ভালো?

কোন প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে ভালো তা বেছে নেয়ার কিছু কৌশল আছে. যদিও কাজটা খুব একটা সহজ না তবুও তুমি যদি কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করো তাহলে তুমি খুব সহজেই বুঝতে পারবে কোন প্রতিষ্ঠানটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে সবচেয়ে ভালো।

  • অতি অবশ্যই যেটা দেখবে তা হলো প্রতিষ্ঠানটি এই কাজ সংক্রান্ত সমস্তরকম প্রশিক্ষণ দেয় কিনা। যদি পাঠক্রম স্বয়ংসম্পূর্ণ হয় তবেই সেই প্রতিষ্ঠান ভালো বলার যোগ্য।
  • যদি সেই প্রতিষ্ঠান তোমাকে তোমার জীবনের প্রথম অর্থউপার্জনের সুযোগ এনে দেয় তাহলে নিঃসন্দেহে তুমি সেটিকে ভালো বলে বেছে নিও.
  • তোমাকে প্রাক্তনীদের সাথে কথা বলতে হবে এবং তারা যে প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিতে বলবে সেটাকে মেনে নিয়ে শ্রেয় কারণ হয়তো সেই প্রতিষ্ঠানের জন্যই আজ তারা তাদের কর্মজীবনে এতটা প্রতিষ্ঠিত।

একথা বলা বাহুল্য যে এই উপদেশ গুলো অনুসরণ করে চললে তুমি অতি অবশ্যই সবচেয়ে ভালো প্রতিষ্ঠানটির খোঁজ পাবে কিন্তু যদি তোমার হাতে এত সময় না থাকে তাহলে তুমি জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট কে নিঃসন্দেহে বেছে নিতে পারো। তার কারণ তথ্য বলে এই প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ শিখে অনেক ব্যক্তিই আজ এই কর্মক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

Admission Open



বাংলা ওয়েবসাইট
Contact Us